মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন (1875 সালে)

ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের পুনর্জাগরণে এবং মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন এ স্যার সৈয়দ আহমদ খানের অবদান অপরিমেয়। মুলত এ দেশে ইংরেজ কোম্পানীর শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প বাণিজ্যে মুসলমানদের এতদিন যে প্রভাব ছিল তা ব্রিটিশ বাণিজ্য নীতির ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে। চিরস্থায়ী মুসলমানদের জায়গায় হিন্দু জমিদাররা ভূমির মালিকে পরিণত হয়। অফিস আদালতের কাজে ফার্সীর জায়গায়  ইংরেজী ভাষা প্রবর্তনের ফলে ইংরেজী ভাষা বিরোধী মুসলমানরা সরকারী চাকরী থেকে বঞ্চিত হয়। সর্বোপরি ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের নায়করূপে মুসলমানদের একচেটিয়াভাবে দায়ী করা হয় এবং মুসলমানদেরকে পঙ্গু করার জন্য ব্রিটিশ শাসন নীতি রচিত হয়। এ অবস্থায় ভারতের যে কয়েকজন মনীষী মুসলমানদের পুনর্জাগরণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে পশ্চিম ভারতের আলীগড় আন্দোলনের নেতা ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের জনক স্যার সৈয়দ আহমদ খানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের সময়ে বাংলার মুসলমানদের অবস্থাঃ

ভারতীয় মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজী শিক্ষা ও পাশ্চাত্য সস্কৃতি হতে নিজেদেরকে দূরে রাখে, অথচ হিন্দুৱা পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ধ্যান ধারণার সাথে সহজেই নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেন। তাই মুসলমানদের প্রতি ব্রিটিশদের মনোভাব বন্ধুসুলভ ছিল না। এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর এ মনোভাব বৈরিতায় পরিণত হয়। এর ফলে  মুসলমানরা রাজনীতি, কৃষ্টি ও অর্থনীতিক ক্ষেত্রে পিছয়ে পড়ে। মুসলমানদের এরূপ হতাশা ও সংকটের সময় স্যার সৈয়দ আহমেদ খান মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন এ মুসলমানদের মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অগ্রসর হয়। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

সৈয়দ আহমদ খান এর জীবনীঃ

সৈয়দ আহমদ খান ১৮১৭ সালে দিলন্টীর এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজের চেষ্টায় ফার্সী, আরবী, ধর্মতত্ত্ব, আইন ও ইতিহাসে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৩৭ সালে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সরকারের অধীনে রেকর্ড-কীপারের চাকুরী গ্রহণ করে কর্মজীবন শুর করেন। ১৮৪৬ থেকে ১৮৫৪ সার পর্যন্ত্ তিনি দিলণ্টীতে বিভিন্ন আদালতে সদর আমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইম্পরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল, হান্টার শিক্ষা কমিশন ও ভারতীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য এবং তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৮ সালে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৮৯৮ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিচে আলীগড় আন্দোলনের বিশেষ উল্লেখ পূর্বক মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন এ সৈয়দ আহমদ খানের অবদান মূল্যায়ন করা হলঃ

ব্রিটিশ-মুসলিম সমন্বয় সাধনঃ  স্যার সৈয়দ আহমদ সিপাহী যুদ্ধের পর ব্রিটিশ শাসক ও ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে এবং ব্রিটিশ সরকারের নীতিতে পরিবর্তন আনতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর মুসলমানদের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের দমন নীতিতে তিনি বিচলিত হন। মুসলমানরা সিপাহী যুদ্ধের জন্য দায়ী, ব্রিটিশ শাসকদের এ বদ্ধমূল ধারণা দূর করতে তিনি অগ্রসর হন এবং ১৮৫৯ সালে The Causes of the Indian Revolt  গ্রন্থে সিপাহী বিদ্রোহের প্রকৃত কারন সাহসের সঙ্গে উদ্ঘাটন করেন।

এছাড়াও ১৮৬০ সালে তিনি Loyal Mohammadans of India নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এতে তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের প্রতি মুসলমানদের বিশ্বস্ত নীতিগুলি বর্ণনা করেন। একই উদ্দেশ্যে ১৮৬৬ সালে British Indian Association নামে একটি প্রতিষ্ঠা দাঁড় করান। এ প্রতিষ্ঠান দেশের অভাব অভিযোগের প্রতি সাফল্যজনকভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্যার সৈয়দ আহমদের ব্যক্তিত্ব ও হান্টার সাহেবের সুপারিশে মুসলমান সমাজের প্রতি ব্রিটিশ দমনীতির পরিবর্তন ঘটে। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

সতীদাহ প্রথা উৎপত্তি বিলুপ্তি রহিতকরণের ইতিহাস।

আইন পরিষদে বেসরকারী ভারতীয় সদস্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করাঃ তিনি মনে করেন  ভারতীয়দের ইচ্ছা অনিচ্ছা সম্পর্কে শাসকদের অজ্ঞতা বা শাসক-শাসিতের মধ্যে ব্যবধানই সিপাহী যুদ্ধের মূল কারণ। তাই তিনি ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মতামতের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গভর্ণর জেনারেলের আইন পরিষদে ভারতীয়দের প্রতিনিধিত্ব থাকার উপর গুরত্বারোপ করেন। এতে বহুলাংশে প্রভাবিত হয়ে ব্রিটিশ সরকার ১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনবলে আইন পরিষদে বেসরকারী ভারতীয় সদস্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করেন।

ইংল্যান্ড যাত্রা: ভারতীয় মুসলমানদের উন্নতির লক্ষ্যে ইউরোপের সংস্কৃতি ও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের জন্য সৈয়দ আহমেদ ইংল্যান্ড যাত্রা করেন। তিনি ব্রিটেনের কেম্ব্রিজ ও অন্যান্য বিশ্বাবদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর সিদ্ধাড় নেন। এছাড়াও তিনি

উইলিয়াম ম্যুর কর্তৃক লিখিত Life of Muhammad গ্রন্থের জবাব দেয়ার জন্য বৃটিশ মিউজিয়াম ও ইন্ডিয়া অফিসের গ্রন্থাগারে সময় ব্যয় করে নিজ খরচে Essay on the Life of Muhammad নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

তাহজীল আল-আখলাক পত্রিকা প্রকাশঃ সৈয়দ আহমদ ১৮৭০ সালের শেষভাগে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে মুসলমান রীতিনীতিতে সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে ‘তাহজীবুল আখলাক’ নামে উর্দু ভাষায় একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এ পত্রিকায় তিনি সেসব রীতি ও আচার আচরণের সমালোচনা করেন, যা তাঁর দৃষ্টিতে প্রগতির পরিপন্থী ছিল। এতে এক শ্রেণীর গোড়া লোক স্যার সৈয়দ আহমদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে ‘কাফের’, ‘খ্রিস্টান’ বলেও সমালোচনা করেন। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা।

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি মুসলমানদের আগ্রহ সৃষ্টিঃ সৈয়দ আহমদ পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য মুসলমানদের আহবান জানান। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান আহরণ এবং বৃটিশদের সঙ্গে সহযোগিতাই মুসলমানদের সত্যিকার অগ্রগতি সাধনের একমাত্র উপায়। মুসলমানরা যাতে গোড়ামী ও রক্ষণশীলতা পরিহার করে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয় সেজন্য তিনি ঘোষণা করেন যে আধুনিক পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞান ইসলামের বিধানে নিষিদ্ধ বা বিপজ্জনক নয়। তিনি বুঝতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যতীত মুসলমানদের ভবিষ্যৎ উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তিনি ইংরেজী শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং ইংরেজদের সাথে সহযোগিতা করতে মুসলমানদের আহবান জানান।

সায়েন্টিফিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠাঃ সৈয়দ আহমদ মুসলমানদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করতে ১৮৬০ সালে গাজীপুরে Translation Society প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠান পরবর্তী সময়ে সায়েন্টিফিক সোসাইটি নামে অভিহিত হয়। প্রয়োজনীয় ইংরেজী গ্রন্থাদি অনুবাদ করা এবং জ্ঞানদীপ্ত সাধারণ কল্যাণবোধের বিকাশে উৎসাহ দান ছিল এ সোসাইটির উদ্দেশ্য। ১৮৬৪ সালে এ সোসাইটি আলীগড়ে স্থানারে করা হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাঃ তিনি মুসলমানদের ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ইংল্যান্ডের শিক্ষা প্রণালী ও বিদ্যালয়সমূহ পরিদর্শন করে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেন। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য তিনি ১৮৭৫ সালে আলীগড়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৭ সালে এটি মোহামেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজে বা আলীগড় কলেজে উন্নীত হয় যা পরবর্তিতে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপায়িত হয়।

সরকারী কলেজগুলিতে ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকার কারণেই প্রধানত মুসলমান অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ সকল কলেজে ভর্তি করাতে অনিচ্ছুক বুঝতে পেরে তিনি শিক্ষার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ইংরেজী ভাষায় প্রধানত পাশ্চাত্য পাঠ্যক্রম গৃহীত হলেও আরবী ভাষা ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সেখানে বাধ্যতামূলক করেন। ফলে মাত্র কয়েক বছরে কলেজটি পাক-ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

আলীগড় আন্দোলনঃ আলীগড় কলেজকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজী শিক্ষার বিস্তার এবং তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক  বিষয়ে উন্নতি সাধিত হয়। এ জন্য এ কলেজ কেন্দ্রিক কর্মকান্ড ‘আলীগড় আন্দোলন’ নামে খ্যাত। উপমহাদেশের মুসলমানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আলীগড় আন্দোলন সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করেছিল। আলীগড় কলেজ কেবল সরকারী পদের জন্য মুসলমান প্রার্থী সৃষ্টি করেনি, বরং এ কলেজ হিন্দু নেতাদেরমত সামর্থবান মুসলিম নেতা সৃষ্টিতেও সমর্থ হয়।

আলীগড় কলেজ মুসলিম পুনরজীবনবাদী আন্দোলনের এক শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং তা ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য সাধনের ক্ষেত্রে এক বিরাট শক্তি হিসেবে কাজ করে। এ আন্দোলন মুসলমানদের মনে এক অভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক আদর্শবাদের প্রসার ঘটায়। এবং এর ফলে মুসলমানদের মনে এ অনুভূতির সঞ্চার হয় যে, তারা হিন্দুদের থেকে পৃথক একটি জাতি। এ আন্দোলন ভারতের সর্বত্র মুসলমানদের মনে ধর্মের প্রতি আনুগত্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের মনে সমাজ সংস্কারের ইচ্ছা ও চেতনা জাগ্রত করে। অধিকম আলীগড় আন্দোলন মুসলমানদের জন্য ব্রিটিশদের সহানুভূতি ও সদিচ্ছা অর্জন করে এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে মুসলমানরা প্রভৃতভাবে উপকৃত হন। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

সমাজবিজ্ঞানের সাথে ইতিহাসের সম্পর্ক,পার্থক্য এবং নির্ভরশীলতা

মুসলিম স্বতন্ত্রতার উন্মেষঃ স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলমানদের স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদ বিকাশে অন্যতম গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কার প্রবর্তনের সময় মুসলমানদের কথা পৃথকভাবে বিবেচনা করার দাবী জানান। তিনি দ্বিজাতি তত্ত্ব পেশ করেনি, কিন্তু তিনি এ ধারণা মুসলমানদের মনে বপন করেছিলেন। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

প্যান-ইসলামিজমের বিরোধিতাঃ সৈয়দ আহমদ প্যান-ইসলামীজমের বিরোধিতা করেন। তিনি ভারতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রচার করেন। তাঁর মৃত্যুর কিছু পূর্বে তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে বলকান যুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় মুসলমানরা তুর্কীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। বলকান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে প্যান-ইসলামিক উৎসাহ হতে যে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের সৃষ্টি হয়, স্যার সৈয়দ আহমদ সে মনোভাবের বিরদ্ধেও সংগ্রাম করেন। তুর্কীদের সঙ্গে তাদের কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই তুর্কী খলিফা তাদের খলিফা নয় বলে তার মত প্রকাশ করেন।

একথা সত্য যে, সিপাহী যুদ্ধের পর মুসলমানদের রাজনৈতিক প্রভাব পুনরুদ্ধার করা এবং তাদেরকে পাশ্চাত্য ভাবধারার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ব্যাপারে স্যার সৈয়দ আহমদ খান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ভূমিকা কোন একক ব্যক্তিই পালন করেন নি । মুলত উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী গঠনে তিনি এক যুগাডন্তকারী ভুমিকা পালন করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় মুসলমান সম্প্রদায় রাজনৈতিক দিক দিয়ে চেতন হয়ে উঠতে থাকে, শিক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের দিকে প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শতাব্দীর তুলনায় উজ্জ্বলতর সম্ভাবনা দেখতে পায়। মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন

আলিগড় আন্দোলনের জনক কে?
স্যার সৈয়দ আহমদ খান (১৮১৭ – ১৮৯৮) মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে আলীগড় আন্দোলন
স্যার সৈয়দ কবে আলীগড় আন্দোলন শুরু করেন?
স্যার সৈয়দ আহমেদ খান আলীগড় আন্দোলনের সাথে জড়িত। তিনি 1875 সালে আলীগড় আন্দোলন সংগঠিত ও প্রতিষ্ঠা করেন। এটি আলিগড়ের মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজে অবস্থিত।

Leave a Comment

Exit mobile version