চট্টগ্রাম মেডিকেল এর কোন ওয়ার্ড কত তলায়, ওয়ার্ডের নাম কি, কিভাবে যাবেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগ পরিচয়, ওয়ার্ড গুলোর অবস্থান ও যোগাযোগের উপায়।

পরিচয়ঃ
স্থাপিতঃ ১৯৫৭
অবস্থানঃ পাঁচলাইশ, কে বি ফজলুল কাদের রোড।
আয়তনঃ ১৫ একর
প্রারম্ভিক বেড সংখ্যাঃ ১২০ টি
বর্তমান বেড সংখ্যাঃ ১৩১৩ টি
স্বাস্থ্যসেবাঃ আনুমানিক ৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রায় ৫০ মিলিয়ন জনসাধারণের।
ওয়ার্ড গুলোর পরিচয়ঃ
ডাইয়ালাইসিসঃ নিচ তলা- মেইন গেইড দিয়ে ঢুকে হাতের ডান পাশে।
ওয়ার্ড ১ঃ জরুরী বিভাগ ও ক্যাজুইলিটি – নিচ তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২ঃ ফিজিক্যাল মেডিসিন, চর্ম ও যৌন বিভাগ- নিচ তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ৩ঃ মানসিক বিভাগ- নিচ তলা মাঝের গেইটের পিছনে।
ওয়ার্ড ৬ঃ রেডিওথেরাপি বিভাগ, আরো আছে ব্লাড ব্যাংক, মডেল ক্লিনিক আউটডোর, গাইনি আউটডোর- নিচ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৭ঃ ডেন্টাল ও শিশু(বহিঃবিভাগ)- ২য় তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৮ঃ শিশু ও মেডিসিন- ২য় তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৯ঃ শিশু বিভাগ- নিচ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ১০ঃ প্রসাশনিক ব্লক- মেইন গেড দিয়ে ঢুকে মাঝখানে, ২য় তলা।
ওয়ার্ড ১১ঃ শিশু সার্জারী বিভাগ- ২য় তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ১২ঃ কার্ডিওলজি বিভাগ- ২য় তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ১৩ঃ মেডিসিন ইউনিট ১- ৩য় তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ১৪ঃ মেডিসিন ইউনিট ২- ৩য় তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ১৫ঃ রেডিওলোজী বিভাগ- মেইন গেইট দিয়ে ঢুকে মাঝখানে ৩য় তলা।
ওয়ার্ড ১৬ঃ মেডিসিন ইউনিট ৩ – ৩য় তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ১৭ঃ নেফ্রোলজী বিভাগ – ৩য় তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ১৮ঃ নিউরো মেডিসিন বিভাগ- ৩য় তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ১৯ঃ নাক,কান,গলা(ENT)- ৪র্থ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ২০ঃ চক্ষু বিভাগ- ৪র্থ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ২১ঃ ও.টি – ৪র্থ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ২২ঃ আই.সি.ইউ ও এ্যানেস্থেশিয়া- ৪র্থ তলা মাঝখানে।
ওয়ার্ড ২৩ঃ ও.টি- ৪র্থ তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২৪ঃ সার্জারি ১- ৪র্থ তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২৫ঃ সার্জারি ২ – ৫ম তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২৬ঃ আর্থো সার্জারি(এক্সিডেন্ট) – ৫ম তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২৭ঃ সার্জারি ইউনিট ২- ৫ম তলার মাঝখানে।
ওয়ার্ড ২৮ঃ নিউরো সার্জারি বিভাগ(এক্সিডেন্ট)- ৫ম তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ২৯ঃ কেবিন (সাধারণ)- ৫ম তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩০ঃ কেবিন (মহিলা)- ৬ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩১ঃ গাইনী (স্ত্রী রোগ) – ৬ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩২ঃ নিউনেটাল পেয়িং(নবজাতক) – ৬ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩৩ঃ প্রসূতি বিভাগ – ৬তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ৩৪ঃ মা ও শিশু বিভাগ – ৬ তলা পূর্ব পাশে।
ওয়ার্ড ৩৫ঃ ইউরোলোজী বিভাগ – ৫ম তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩৬ঃ বার্ণ ও প্লাস্টিক বিভাগ – ৬ তলা পশ্চিম পাশে।
ওয়ার্ড ৩৭ঃ ক্যান্সার বিভাগ-৬ তলায়।
এছাড়াও নতুন বিল্ডিং এ আছে –
মেডিসিন আউটডোর, ই সি জি টেস্ট, চক্ষু বিভাগ, বিভিন্ন টেস্ট।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বহির্বিভাগঃ
  1. চট্টগ্রাম মেডিকেল এর বহির্বিভাগ মেসিকেল এর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। (ডেন্টাল এর অপজিটে, চট্টগ্রাম মেডিকেল নার্সেস ক্যাফেটেরিয়া এর বিপরীত পাশে)।
  2. প্রতিদিন সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল এর বহির্বিভাগ খোলা হয়।
  3. যে কোনো রোগের জন্য ১০ টাকা দিয়ে টোকেন নিতে হয় (আলাদা আলাদা রোগের জন্য আলাদা আলাদা টোকেন)।
  4. চর্ম রোগ বিভাগ নিচ তলায় + ই.সি.জি নিচ তলায়।
  5. কাঁটা-ছেড়া, সার্জারি বিভাগ ২ তলায়।
  6. সর্দি, টনসিল ইত্যাদি ৩ তলায়।
  7. বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা নির্ণয় ৪ তলায় করানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ 

https://cmch.gov.bd/

ইতিহাসঃ
১৯০১ সালে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়; যাতে চার বছর মেয়াদী এলএমএফ ডিগ্রী প্রদান করতো। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যেটি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই কলেজের উদ্বোধন করেন; আর ডাঃ আলতাফ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিকেল হিসেবে সেবা প্রদান করতো। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর বিভাগ ছিল তিনটি; অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণরসায়ন। ১৯৬০ সালে এতে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ ছিল। ১৯৬৯ সালে বর্তমান ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে ১৯৬৯ সালে এটি বর্তমানের সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯০ সালে ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী চালু হয়। বর্তমানে এর শয্যাসংখ্যা ১৩১৩। ২০০৭ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং(MRI), কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং চালু হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বঃ
১) কিছু ডকু‌মেন্ট সত্যা‌য়িত কর‌তে হ‌বে সরকা‌রি ডাক্তার দিয়ে।এখান থে‌কে করা‌নো যা‌বে?‌মে‌ডি‌কে‌লের কোন অং‌শে যে‌তে হ‌বে?
উত্তরঃ বহিঃবিভাগে সাধারণত এমবিবিএস ডাক্তাররা বসে। আপনি চাইলে সেখানে যেতে পারেন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এর বহির্বিভাগের ডাক্তারের কাছেও যেতে পারেন।
২) চোখের ডাক্তার দেখাবো কাল।প্লিজ বলবেন কি ঠিক কয়টা থেকে ডাক্তার দেখানো যাবে??
উত্তরঃ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। (আউটডোরে সকাল ৯টা থেকেই দেখাতে পারবেন। হাসপাতালের পশ্চিম পাশের নতুন বিল্ডিং এ। তবে আর্লি যাওয়া বেটার। কারণ দশটার দিক থেকে সিরিয়াল অনেক লম্বা হয়ে যায়।)
৩) শুক্রবারে বহির্বিভাগ (আউটডোর) কি খোলা থাকে?
উত্তরঃ না। শুক্রবার বহির্বিভাগ বন্ধ থাকে। ইমার্জেন্সি ২৪x৭ খোলা থাকে।
৪) বিশেষজ্ঞ মানসিক ডাক্তার কে আছেন?
উত্তরঃ অনেকেই আছেন।

Leave a Comment

Exit mobile version